সর্বশেষ


 

Monday, March 28, 2022

পাহাড়িদের নিজেদের তৈরি মোবাইল টাওয়ার || সাপ্তাহিক চাঁদপুর

পাহাড়িদের নিজেদের তৈরি মোবাইল টাওয়ার || সাপ্তাহিক চাঁদপুর




 ____ ছবিতে যে বাশের খুঁটিগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো পাহাড়িদের নিজেদের তৈরি মোবাইল টাওয়ার। টাওয়ারের মাথায় এনালগ ফোন রেখে দেওয়া হয়েছে। আপনি যদি মোবাইলটা হাতে নেন, কথা বলতে পারবেন না। বাশের মাথায় মোবাইল রেখেই, বাশের গোড়ায় বসে ডায়াল করে লাউডস্পিকার অন করে কথা বলতে হবে। এক ইঞ্চি সরালেই নেটওয়ার্ক গায়েব।

জায়গাটার নাম থুইসাপাড়া।



বান্দরবন থেকে চিম্বুক পাহাড় চান্দের গাড়িতে তিন ঘন্টা পাড়ি দিলেই থানচি। থানচি থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক পাবেন না। কোটিকোটি পাথর ঠেলে পাহাড়ি নদী সাঙ্গু হয়ে নৌকায় তিন ঘন্টা পাড়ি দিলে রেমাক্রি। নেটওয়ার্ক কিন্তু এখনো নেই।

রেমাক্রি থেকে হেঁটে দুই ঘন্টা পাড়ি দিলে নাফাখুম। নাফাখুমের ঝর্নাকে পেছনে ফেলে আরো ঘন্টা তিনেক হাঁটলে জিন্নাপাড়া। সেখানে থাকে ২৬ মারমা পরিবার। এখানেও নেটওয়ার্ক নেই।
জিন্নাপাড়া থেকে একটা পাহাড় ডিঙ্গালেই থুইসাপাড়া। থুইসাপাড়া বাংলাদেশের সবচেয়ে গহীন এলাকার একটি।

আদিম ও আজব জায়গায় যেতে ঘন্টার পর ঘন্টা হাঁটতে হবে। মানুষ নেই। দিক ভুলে গেলে কাউকে জিজ্ঞাসা করার উপায় নেই। সাথে রাখতে হয় লোকাল গাইড। পথ চিনে নিতে হয় সাঙ্গুকে দেখে। আপনার দল, সাঙ্গু আর মাঝেমাঝে দুয়েকটা সুপেয় ঝর্না, এই হল আদিমযুগে প্রবেশ করার একমাত্রসঙ্গী।

রোদে ক্লান্ত?
পানি খাবেন?
নদীর পানিই খেতে হবে। পরিষ্কার, টলমলে, শীতল পানি। ঝর্ণার পানি আসে পাথরের ভেতর থেকে। এই পানির নাম খনিজ পানি। মাম-মুক্তা কিংবা ফ্রেস-প্রাণের পানির চাইতেও নিরাপদ এবং সুস্বাদু।

নাস্তা করবেন?
ভাত খাবেন?
উপায় নেই।
তবে কয়েকটা পরিবার আছে যারা কমার্শিয়ালি ট্যুরিস্টদের রান্না করে খাওয়ান। মেন্যু অল্প। ডাল থাকবে। আমার কাছে এই একটা খাবারই ভাল লেগেছে। বনমোরগ কদাচিৎ। পালিত মোরগের মাংস। অথবা ডিম। সাথে অতিরিক্ত হিসেবে আলুভর্তা।

যাত্রাপথে শুরুর দিকে, সাঙ্গুর তীরে ইচ্ছেমত কলা কিনে খেতে পারেন। কলার দাম কম। একটা একটাকা। কলা চাষ হয় খাড়া পাহাড়ের গায়ে।

রাতে পাহাড়ের কিনারে বাশের বেঞ্চে বসে আছি। কারা যেন পাশের পাহাড়টায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। মশালের মত লাগছে। একটা পাহাড়ের সমান বাশ। তার মাথায় আগুন। যাত্রাপথে অনেকগুলো পাহাড়ে আগুন দেখলাম। পাহাড়িরা ফসল তোলার পর গাছগুলো কেটে দেয়। এরপর একমাস রাখে। শুকোলেই সেগুলোয় আগুন লাগিয়ে পুড়ে ফেলে। আবার চাষ হয় সেখানে।
থানচির গহীন পাহাড়ে অদ্ভুত জিনিসটা হল সেখানে কোন হিংস্র পশু নেই। বাদর, হরিণ, হাতি ঘোড়া কিছু নেই। না থাকার একটামাত্র ব্যাখ্যা হতে পারে সেখানে কোন কাষ্ঠলগাছ নেই। মাইলের পর মাইল জঙ্গল। মাঝেমাঝে কলাগাছের বাগান। বাশের বাগান কিন্তু কাঠ হবে এমন গাছ নেই। বড়গাছ বা ফলের গাছ না থাকায় পাখিও নেই তেমন।

রাতভর জোছনা ছিল। হয়তো ক্লান্তি নিয়ে মাচাঙে বসে আছি খালিগায়ে। জোছনায় ভেসে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ প্রান্তর। পাহাড় বেয়ে আসছে শীতল বাতাস। অথচ দিনে আগুনের মত উত্তপ্ত সব।

যাদের বাড়িতে ছিলাম, তাকে রাতে জিজ্ঞাসা করলাম,
‘কারো অসুখ হলে কী করেন?’
কিছুই করে না। অসুখ হলে মারা যায়। ঔষুধ কিংবা হাসপাতাল নেই। বিত্তবান কিংবা ক্ষমতাসীনদের কেউকেউ চারজন মানুষের কাঁধে উঠে থানচি আসে। তবে সেটা অনেক বছরে একবার ঘটে।
কেউ মরলে মাটিতে পুতে রাখে। এক পাহাড়ের ঢালে কয়েকটা এপিটাফ (থুইসাপাড়া যেতে)। এপিটাফের গায়ে ইংরেজি হরফে কী যেন লেখা। সেখানে পোতা আছে অনেকের লাশ।

বিশাল আর্টিকেল ফাঁদার কারণ বলি।
দুপুরে একটা মাচাঙে বসে বিশ্রাম নিচ্ছি। কয়েকজন মারমা মহিলা গোসল করছেন। অনিচ্ছাকৃত চোখ চলে গেল। কোমরের উপরে কাপড় নেই। চোখ সরালাম।
সা সুই মারমা নামে তরুণ নৌচালককে জিজ্ঞাসা করলাম,
‘এখানে ধর্ষণ হলে কী হয়?’
‘ধর্ষণ নেই।’
‘এভাবে খোলেমেলা ঘুরে বেড়াচ্ছে। পর্দা নাই। ধর্ষণ কেন হবে না? আশ্চর্য!’
সা সুই মারমা গলাভর্তি এলাচি ঢালল। এলাচি হল স্থানীয় মদ।
‘কোন মেয়েকে ভাল লাগলে যদি পালিয়ে বিয়ে করো?’
‘কেউ পালিয়ে বিয়ে করে না।’
‘কোন ঘরেই দরজা নাই। যদি চুরি হয়?’
‘চুরি হয় না।’
‘কী হয়? খারাপ কী কী ঘটে জানতে চাই!’
সা সুই একবার তাকাল। সুদর্শন তরুণ। বয়স ২২। কিন্তু কয়েকদিন আগেই এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। মাসে একবার ট্যুরিস্টদের সাথে গহীনে আসে। তার চোখের ভাষা পড়া যাচ্ছে না। সমতলের চোখমুখ দেখে হাসি কান্না আলাদা করা যায়। মারমাদের যায় না। সবাই দেখতে একই রকম। হাসি আনন্দে কান্নায় তাদের মুখের ভঙ্গি বদলায় না।

শেষ রাতে মাচাঙে বসে থাকতে থাকতেই রাত কেটে যাচ্ছে।
দলের কয়েকজন স্থানীয় উৎকট গাঁজা, চোলাই মদ খেয়ে মাচাঙের উপর নিয়ন্ত্রণহীন নাচছে। নাচের চোটে ঘরবাড়ি দুলছে।

আমি দুনিয়ার বিবিধ খারাপ জিনিস নিয়ে ভাবছি।
থানচি থেকে নৌকায় উঠার সময় ছোটছোট পাথর দেখে যাত্রা শুরু হয়েছিল। যত গহীনে এসেছি ততই বড় হয়ে যাচ্ছিল পথের পাথর। ব্যস্তানুপাতে কমছিল মানবিক ত্রুটি। যেন ছোট পাথরের দুনিয়ার মানুষ বড়পাপের, আর বড় পাথরের দুনিয়ার মানুষ ছোটপাপের।

টানা তিনদিন আমরা সবাই নেটওয়ার্কের বাইরে। মোবাইলগুলো নিতান্তই ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অধিকাংশ সময় ব্যাগবন্দি হয়ে ঘুমিয়ে থাকছে। সবাই রোদে পুড়ছে, পাহাড়ে চড়ছে। পানিতে ডুবছে, টানা বারান্দায় ডাল, ভর্তা খাচ্ছে। কেউ মোবাইল চাপছে না। কেউ কাউকে চেনে না কিন্তু সবার জন্য সবার অসীম দরদ। কারো পায়ে ফোস্কা পড়েছে। আরেকজন টেনে নিয়ে যাচ্ছে তার ভারী ব্যাগ। অথচ তারও হয়তো কোমরে বাথা, হাঁটুতে শক্তি নেই।

ঘরে ফিরব।
চতুর্থ রাত একসময় ভোর হল। চাঁদটা ডুবে গেল পাহাড়ের ওপাশে।
থানচি পৌছে সূর্যটাও ডুবল পাহাড়ের ওপাশে।
কিন্তু প্রবেশ করলাম এক বিচিত্র জগতে।
মোবাইলে নেটওয়ার্ক আসল। শ্রী লঙ্কায় যাদের জীবিত রেখে যাত্রা শুরু হয়েছিল তাদের ২৫০ জম মানুষ মারা গেছে বোমা হামলায়। ফেসবুকের টাইমলাইনভর্তি মন খারাপের গল্প। অনেকগুলো ধর্ষণ আর হত্যাকান্ড হয়েছে আমাদের অনুপস্থিতিতে। শুরু হল দ্বিতীয় নরক জীবন।
হায়!
আমি আবার পাহাড়ে যাব।
আমি আবার গহীনে যাব।
.
.
-রাজীব হোসাইন সরকার

Friday, February 4, 2022

এই মাস্ক পড়ে খাওয়া-দাওয়াও করা যাবে! || সাপ্তাহিক চাঁদপুর

এই মাস্ক পড়ে খাওয়া-দাওয়াও করা যাবে! || সাপ্তাহিক চাঁদপুর

 



করোনা থেকে নিজেদের সুরক্ষিত করতে বিশ্ববাসী এখন সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে মাস্কের ওপর। তবে দক্ষিণ কোরিয়া এই মাস্ককে পৌঁছে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রায়। সেখানে বিশেষ এক ধরনের মাস্কের প্রচলন শুরু হয়েছে, যা কেবলমাত্র নাককে ঢাকতে সক্ষম। মুখ অনাবৃত থাকায় খাওয়া বা পান করায় বার বার মাস্ক মুখ থেকে নামানোর প্রয়োজন পড়ে না। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।


নতুন ধরনের এই মাস্কের নাম দেয়া হয়েছে ‘কোস্ক’। ‘কো’ শব্দটি এসেছে নাকের কোরিয়ান প্রতিশব্দ থেকে, অন্যদিকে মাস্কের শেষের অংশ ‘স্ক’ দিয়ে তৈরি হয়েছে কোস্ক শব্দটি। আতমান নামের একটি কোম্পানির উৎপাদিত এই মাস্ক বক্সপ্রতি বিক্রি করা হচ্ছে ৮.১৩ ডলারে। এটি পাওয়া যাচ্ছে কোরিয়ান অনলাইন বেচা-কেনা সংক্রান্ত প্ল্যাটফর্ম কোপাংয়ে।


---সাপ্তাহিক চাঁদপুর ---



মূলত এই মাস্কটি নকশা করা হয়েছে মূল মাস্কের নিচে পরার জন্য। অর্থাৎ নাক ও মুখ আবৃত করে রাখে এমন মাস্কের নিচে পরা যেতে পারে ‘কোস্ক’। ফলে খাওয়া বা কিছু পান করার সময় বড় মাস্কটি খুলে রাখলেও নাককে সুরক্ষা দিয়ে থাকে কোস্ক। এর রয়েছে দুটি অংশ। মুখের অংশটি ওপরে উঠিয়েও খাওয়া দাওয়া চালানো যেতে পারে।


যদিও এই ধরনের মাস্ক নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ এর পক্ষে কথা বলছেন। আবার অনেকেরই মত এই মাস্ক আদতে কোনা উপকার দেবে না।


কোভিড ১৯ শুরু হওয়া থেকে আজ অবধি নানান রকমের মাস্ক আবিস্কার করে চলেছেন, বিভিন্ন দেশের লোকজন এর মধ্যে কিছু কিছু মাস্ক পৌছেছে চরম হাসি নিয়ে! 


---সাপ্তাহিক চাঁদপুর ---

আল্লু অর্জুনের স্টাইলে কোটি টাকার রক্ত চন্দন পাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার ১ || সাপ্তাহিক চাঁদপুর

আল্লু অর্জুনের স্টাইলে কোটি টাকার রক্ত চন্দন পাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার ১ || সাপ্তাহিক চাঁদপুর

 সম্প্রতি আল্লু অর্জুনের পুস্পা ছবির গান কিংবা ডায়ালগ অনুকরণ করতে দেখা গিয়েছে একাধিক নেটিজেনকে। তবে এবার পুস্পার আদলে লাল চন্দন পাচারের চেষ্টা করলো এক ব্যক্তি। তবে পুস্পার মতো মসৃণ কায়দায় কাজ হাসিল করতে পারেনি সে। মহারাষ্ট্রের পুলিশের হাতে ধরা পড়লো পাচারকারী। ওই পাচারকারীর নাম ইয়াসিন ইয়ানাতুল্লাহ। 



প্রতিবেদনে বলা হয়, একেবারে ফিল্মি কায়দায় কর্নাটক অন্ধ্রপ্রদেশের সীমান্ত থেকে মহারাষ্ট্রে ওই বিপুল পরিমাণ চন্দন কাঠ নিয়ে আসছিল সে। সাংলি এলাকার মিরাজ নগর থেকে গান্ধি চকে ঢোকা মাত্রই সে ধরা পড়ে যায়।


- সাপ্তাহিক চাঁদপুর --- 

 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চোরাকারবারির হেফাজত থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার লাল চন্দন কাঠ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ছবির খুঁটিনাটি তথ্য ব্যবহার করে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র অবধি ওই বিপুল পরিমাণ কাঠ নিয়ে চলে এসেছিল বাস্তবের পুস্পারাজ। কিন্তু মহারাষ্ট্রে নাকা চেকিংয়ের দরুন ধরা পড়ে যায় সে।


পুস্পা ছবিতে বুদ্ধির জোরে মজুর থেকে মাফিয়া হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে আল্লু অর্জুনকে। কখনও কোটি কোটি টাকার কাঠ নদীতে ভাসিয়ে, কখনও আবার তা হৃদে ফেলে দিয়ে পুলিশের হাত থেকে বেঁচেছিল ছবির নায়ক পুস্পা। অন্যরা ফল কিংবা ফুলের আড়ালে কাঠ পাচার করতো। ফলে তারা সহজেই ধরা পড়ে যেতো। কিন্তু পুস্পা লরিতে প্রথমে লাল চন্দন কাঠ ভরে দিতো। এরপর কায়দা করে দুধ ভর্তি করে দিতো ট্রাকে। তবে বাস্তবের পুস্পারাজ কিন্তু আরও এক কদম এগিয়ে গিয়েছিল। সে কায়দা করেছিল অন্য জায়গায়।


পুলিশ জানিয়েছে, আটক করা ট্রাকটির বাইরের দিকে বড় বড় ফল এবং সবজির বাক্স দিয়ে ভরানো হয়েছিল। বাইরে সেঁটে দেয়া হয়েছিল কোভিড-১৯ এসেনশিয়াল প্রোডাক্ট স্টিকারও। তার এই বুদ্ধি কাজেও লেগে যেতো। তবে তীরে এসে তরী ডুবে গেলো এবার। পুলিশের জালে ধরা পড়লো রিয়েল লাইফ পুস্পা।


প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুন ছড়িয়েছে পুস্পা। ডায়ালগ থেকে গান, সবকিছুরই রিল ভাইরাল। কেউবা অন্তাভারের তালে কোমর দোলাচ্ছেন, কেউ নাচছেন শ্রীভাল্লি গানে।



----সাপ্তাহিক চাঁদপুর---- 

Monday, August 23, 2021

ফ্ল্যাট থেকে অভিনেত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার    ।। সাপ্তাহিক চাঁদপুর

ফ্ল্যাট থেকে অভিনেত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার ।। সাপ্তাহিক চাঁদপুর

 

তামিল অভিনেত্রী আলেকজান্দ্রা জ্যাভি, ফাইল ছবি।
তামিল অভিনেত্রী আলেকজান্দ্রা জ্যাভি, ফাইল ছবি।

নিজ ফ্ল্যাট থেকে তামিল অভিনেত্রী আলেকজান্দ্রা জ্যাভি'র মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার অভিনেত্রীর গোয়ার বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। 


জ্যাভি রাশিয়ান মডেল ও অভিনেত্রী ছিলেন। পুলিশের প্রথমিক ধারণা তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ইন্ডিয়া গিল্টজ-এর খবর।



 

তামিল ছবি 'কাঞ্চনা থ্রি'তে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন জ্যাভি। উত্তর গোয়ার একটি গ্রামে থাকতেন এই অভিনেত্রী। 



 

স্থানীয়দের দাবি, সম্প্রতি প্রেমিকের সংগে বিচ্ছেদ হয় জ্যাভি'র। প্রেমিক ছেড়ে চলে যাওয়ায় দীর্ঘদিন হতাশায় ভুগছিলেন তিনি।


এছাড়া ২০১৯-এ যৌন হয়রানির অভিযোগে চেন্নাইয়ের এক ফটোগ্রাফারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সেই ফটোগ্রাফার। তাকেও এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

 গুলি করেন লিয়াকত, পা দিয়ে গলা চেপে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন ওসি প্রদীপ: আদালতে সিনহার বোন

গুলি করেন লিয়াকত, পা দিয়ে গলা চেপে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন ওসি প্রদীপ: আদালতে সিনহার বোন

 

মেজর সিনহা রাশেদ

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিনে আদালতে হাজির করা হয়েছে প্রদীপ-লিয়াকতসহ ১৫ আসামিকে। প্রথম সাক্ষী হিসেবে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে মামলার বাদী ও মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।

আদালতে শারমিন বলেন, ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের যোগসাজসে আসামিরা রাশেদকে হত্যা করেছে। পরিদর্শক লিয়াকত গুলি করার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন ওসি প্রদীপ কুমার দাস। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি।

এরপর মাঝে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত চলে সাক্ষ্য পরবর্তী আসামিপক্ষের জেরা।

প্রথম দিনের কার্যক্রমের শুরুতেই এ মামলার অভিযোগ গঠনের কোনো সার্টিফাইড কপি পাননি বলে আদালতকে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ জন্য সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রমে অংশ নিতে অপারগতা জানান তারা। পরে আদালত আশ্বস্ত করলে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের এমন অভিযোগকে মূলত মামলার বিচার কার্যক্রমকে দীর্ঘায়িত করার কৌশল বলে মনে করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌশলী অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।

১৫ জন আসামির মধ্যে ১২ জনের আইনজীবী প্রথম সাক্ষীকে জেরা করেছেন। মঙ্গলবার বাকি তিনজনের জেরার পর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।

Saturday, August 14, 2021

ইউটিউব দেখে হেলিকপ্টার বানিয়ে উড়তে গিয়ে তরুণের মৃত্যু (ভিডিও)

ইউটিউব দেখে হেলিকপ্টার বানিয়ে উড়তে গিয়ে তরুণের মৃত্যু (ভিডিও)

 

ইউটিউব দেখে হেলিকপ্টার বানিয়ে উড়তে গিয়ে তরুণের মৃত্যু

ইউটিউব দেখে হেলিকপ্টার বানিয়ে উড়তে গিয়ে তরুণের মৃত্যু (ভিডিও)

মাধ্যমিকের গণ্ডি না পেরেনো এক তরুণ ইউটিউব দেখে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা ছাড়াই নিজে নিজে হেলিকপ্টার বানিয়েছিলেন। সেই হেলিকপ্টার পরীক্ষামূলকভাবে উড়াতে গিয়ে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মৃত্যু হলো তার।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির রাজ্য মহারাষ্ট্রের ফুলসাওয়াঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা শেখ ইসমাইল নামে ২৪ বছর বয়সী ওই তরুণ ইউটিউব দেখে এক আসন বিশিষ্ট একটি প্রোটোটাইপ হেলিকপ্টার নির্মাণ করেন। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে স্কুল ছেড়ে দেয়া ইসমাইলের স্বপ্ন ছিল বিস্ময়কর কিছু করে তার গ্রামের সুনাম সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া। তাই তিনি নিজের ডাক নামের সাথে মিলিয়ে ‘মুন্না হেলিকপ্টার’ নির্মাণ করেন।

নিহত ইসমাইলের বন্ধু শচীন গণমাধ্যমকে জানান, থ্রি ইডিয়ট সিমেনার র‌্যাঞ্চো চরিত্র ভীষণ প্রভাবিত করে ইসমাইলকে। তাই তিনি অসাধারণ কিছু করার জন্য গ্রামে বসেই হেলিকপ্টার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। পরে ইউটিউবে হেলিকপ্টার বানানোর বিভিন্ন ভিডিও দেখে নিজেই হেলিকপ্টার বানানো শুরু করেন ইসমাইল।

জানা গেছে, হেলিকপ্টারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করতে ইসমাইলের প্রায় দু’বছর লেগেছিল। স্টিলের পাইপ দিয়ে তিনি হেলিকপ্টারের পাখা বানান। মারুতি ৮০০ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয় হেলিকপ্টারটি চালানোর জন্য। ইসমাইল চেয়েছিলেন ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে পুরো গ্রামের উপর হেলিকপ্টার নিয়ে চক্কর দিতে। এজন্য গত ১০ আগস্ট তিনি বন্ধুদের সামনে হেলিকপ্টারটি পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করেন।

কিন্তু হেলিকপ্টারের ইঞ্জিন চালু করার পরপরই হেলিকপ্টারের পেছনের লেজের অংশ খুলে হেলিকপ্টারের ওপরের পাখায় আঘাত করে। সেই স্টিলের পাখা ইসমাইলের গলায় আঘাত করলে সাথে সাথেই হেলিকপ্টার থেকে অচেতন হয়ে পড়ে যান তিনি।

বন্ধুরা তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস

Wednesday, August 11, 2021

বুর্জ খলিফার চূড়ায় শুটিং করে তাক লাগালেন নারী

বুর্জ খলিফার চূড়ায় শুটিং করে তাক লাগালেন নারী

 


মাটি থেকে ৮২৮ মিটার উপরে উঠলে অনেকেরই ভয়ে গলা শুকিয়ে আসবে, হাত-পা কাঁপবে। অথচ সেই উচ্চতায় হচ্ছে বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং, তাতে দেখা যাচ্ছে কেবল এক নারীকে। সম্প্রতি এমনই এক ‘অসাধ্য’ সাধন করেছে আমিরাতের এমিরেটস এয়ারলাইন্স। কোনো ধরনের ‘গ্রিন স্ক্রিন’ বা স্পেশাল ইফেক্টস ছাড়াই বুর্জ খলিফার চূড়ায় এক নারীকে দাঁড় করিয়ে বিজ্ঞাপনের শুটিং সেরেছে তারা। কিন্তু কীভাবে?

দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস জানিয়েছে, এমিরেটসের বিজ্ঞাপনচিত্রে দেখা যাওয়া ওই সাহসী নারীর নাম নিকোল স্মিথ-লুডভিক। তিনি পেশাদার স্কাইডাইভিং ইনস্ট্রাক্টর। বুর্জ খলিফার চূড়ায় ওঠা হাতেগোনা কিছু মানুষের তালিকায় সম্প্রতি যোগ হয়েছে তার নাম। এর আগে দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম ও হলিউড তারকা টম ক্রুজসহ অল্প কয়েকজনের বুর্জ খলিফার চূড়ায় ওঠার সৌভাগ্য হয়েছিল।

কী আছে বিজ্ঞাপনে?
৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিওক্লিপে দেখা যায়, এমিরেটসের কেবিন ক্রুদের ইউনিফর্ম পরা নিকোলের হাতে কয়েকটি সাদা বোর্ড রয়েছে, যাতে আমিরাতকে যুক্তরাজ্যের ভ্রমণ সংক্রান্ত আম্বার তালিকায় যুক্ত করায় খুশি হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। শুরুতে এটিকে আর দশটা সাধারণ জায়গার মতো মনে হলেও ক্যামেরা দূরে যেতেই পরিষ্কার হয়ে ওঠে নিকোলের অবস্থান। দেখা যায়, তিনি একা দাঁড়িয়ে রয়েছেন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফার চূড়ায়।

কীভাবে হলো বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং?

এমিরেটস কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বিজ্ঞাপনটি চিত্রায়িত হয়েছে ব্যাপক পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, পরীক্ষা আর কঠোর সুরক্ষা প্রোটোকল অনুসরণের ভিত্তিতে। কাজটি মোটেও সহজ ছিল না। ৮২৮ মিটার উঁচু বুর্জ খলিফার চূড়ায় উঠে মাত্র ১ দশমিক ২ মিটার অর্থাৎ চার ফুটের চেয়েও ছোট একটি প্ল্যাটফর্মের ওপর দাঁড়িয়ে সব কাজ সারতে হয়েছে মডেলকে।

এমিরেটস জানিয়েছে, বিজ্ঞাপনের মডেল খুঁজতে তাদের নিজস্ব কেবিন ক্রুদের মধ্য থেকেই আগ্রহীদের ডাকা হয়েছিল, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন যোগ্যও ছিলেন। তবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শেষ পর্যন্ত একজন পেশাদার স্কাইডাইভার ইনস্ট্রাক্টরকেই বেছে নেয়া হয়। এরপরও বিজ্ঞাপনচিত্রের গোটা শুটিও ও এর প্রস্তুতিকালে নিরাপত্তার বিষয়টি ছিল সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে।

এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, বুর্জ খলিফার চূড়ায় দাঁড়ানোর জন্য একটি পোলযুক্ত কাস্টম প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছিল। ইউনিফর্মের নিচ দিয়ে লুকিয়ে প্ল্যাটফর্মের ওই পোলটি নিকোলের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল, এছাড়া চূড়ার আরও দুটি প্রান্তের সঙ্গে সরাসরি বাঁধা ছিলেন তিনি।

সোনালি আলো পেতে শুটিং শুরু হয়েছিল একদম সূর্যোদয়ের সময়। সূর্য ওঠার অনেক আগেই চূড়ায় ওঠা শুরু করে বিজ্ঞাপন সংশ্লিষ্ট টিম। বুর্জ খলিফার ১৬০ তলা থেকে শীর্ষে পৌঁছতে তাদের প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট সময় লেগেছিল বলে জানিয়েছে এমিরেটস কর্তৃপক্ষ।

চূড়ায় পৌঁছতে টিউবের ভেতর কয়েক ধাপে মই সংযুক্ত করতে হয়েছিল বিজ্ঞাপন টিমকে। তারা সেখানে ছিলেন পাঁচ ঘণ্টার মতো। পুরো সিকোয়েন্স ধারণ করতে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি ড্রোন।

এমিরেটস জানিয়েছে, ৮২৮ মিটার উঁচুতে ধারণ করা এ বিজ্ঞাপন গোটা বিশ্বের মধ্যেই সর্বোচ্চ উচ্চতায় ধারণ করা বিজ্ঞাপনগুলোর মধ্যে অন্যতম।

jagonews24

বুর্জ খলিফার চূড়ায় টম ক্রুজ

প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট স্যার টিম ক্লার্ক বলেন, বুর্জ খলিফার চূড়ায় শুটিংয়ের অনুমতি পাওয়া কিছু বিশিষ্টজনের মধ্যে যেতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের সুন্দর শহর দুবাইকে দেখাতে পেরে আমরা আরও বেশি গর্ববোধ করছি।

জানা গেছে, দর্শকদের জন্য প্রাসঙ্গিক বার্তা সংযোজন করে এমিরেটসের নেটওয়ার্কের বিভিন্ন দেশে বিজ্ঞাপনটি দেখানো হবে। এর প্রথম টিভি ক্যাম্পেইন শুরু হবে যুক্তরাজ্যে।

কেএএ/জেআইএম