Pori Moni: ধর্ষণ-হত্যার চেষ্টার অভিযোগ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি নায়িকা পরীমণির
বাংলাদেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্রাভিনেত্রী পরীমণি অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টাও হয়েছে। এমনকি ঘটনার ৫ দিন পরেও তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।রবিবার সন্ধেবেলা নেটমাধ্যমে পোস্ট করে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়েছেন পরীমণি। শৈশবে মাতৃহারা নায়িকা দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করে লিখেছেন, ‘আমার আপনাকে দরকার মা। আমার এখন বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে দরকার মা। মা আমি বাচঁতে চাই। আমাকে বাঁচিয়ে নাও মা।’
বরাবর,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আমি পরীমণি।এই দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক।আমার পেশা চলচ্চিত্র।আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।আমি এর বিচার চাই।এই বিচার কই চাইবো আমি? কোথায় চাইবো? কে করবে সঠিক বিচার ? আমি খুঁজে পাইনি গত চার দিন ধরে। থানা থেকে শুরু করে আমাদের চলচ্চিত্রবন্ধু বেনজির আহমেদ আইজিপিস্যার! আমি কাউকে পাইনা মা।যাদেরকে পেয়েছি সবাই শুধু ঘটনা বিস্তারিত জেনে, দেখছি বলে চুপ হয়ে যায়!আমি মেয়ে, আমি নায়িকা, তার আগে আমি মানুষ। আমি চুপ করে থাকতে পারিনা। আজ আমার সাথে যা হয়েছে তা যদি আমি কেবল মেয়ে বলে, লোকে কী বলবে এই গিলানো বাক্য মেনে নিয়ে চুপ হয়ে যাই, তাহলে অনেকের মতো (যাদের অনেক নাম এক্ষুণি মনে পরে গেল) তাদের মতো আমিও কেবল তাদের দল ভারী করতে চলেছি হয়তো।আফসোস ছাড়া কারোর কি করবার থাকবে তখন!আমি তাদের মতো চুপ কি করে থাকতে পারি মা?আমি তো আপনাকে দেখিনি চুপ থেকে কোন অন্যায় মেনে নিতে!আমার মা যখন মারা যান তখন আমার বয়স আড়াই বছর। এতদিনে কখনো আমার এক মুহুর্ত মাকে খুব দরকার এখন,মনে হয়নি এটা। আজ মনে হচ্ছে , ভীষণ রকম মনে হচ্ছে মাকে দরকার ,একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরার জন্য দরকার।আমার আপনাকে দরকার মা। আমার এখন বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে দরকার মা।মা আমি বাচঁতে চাই।আমাকে বাঁচিয়ে নাও মা 🙏
রবিবার মধ্যরাতেই তিনি সরাসরি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন। সাংবাদিকদের সামনে বিচার পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন বার বার। গণমাধ্যমের সামনে তিনি বার বার চিৎকার করে বলেন, ‘‘আমি মরতে চাই না। আমি আত্মহত্যা করব না। কিন্তু যদি আমি মরে যাই, জেনে রাখবেন, আমাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার বাসায় আমি সুরক্ষিত নই।’’
পরীমণি জানালেন, ঘটনাটি ঘটেছে ৫ দিন আগে। সঙ্গে সঙ্গেই থানায় গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও রকম সাহায্য মেলেনি সেখান থেকে। ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক থানায় নেই বলে পরীমণি এবং তাঁর সঙ্গীদের ফিরে আসতে হয়। তাঁকে ফোন করা হবে বলে থানা থেকে আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু ৪ দিন বাদেও কোনও ফোন না আসায় তিনি নেটমাধ্যম ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ঘটনা প্রকাশ করতে বাধ্য হন।
0 coment rios: