Monday, July 12, 2021

মহানগরের দিনলিপি

মহানগরের দিনলিপি
মহানগরের দিনলিপি

মহানগরের দিনলিপি
আহমাদ নোমান।

-------------------------------

গুম,খুন, হত্যা,লুটতরাজ এ শহরের নিত্য অভ্যাসে পরিণত হয়েছে৷ এ শহরের রং এখন আগের মত সুন্দর না৷ মনমাতানো এ শহরটি আগের মত ভালো লাগে না৷ বিমুগ্ধ  শহরটি তার মুগ্ধতা হারিয়ে এখন পথে বসেছে৷ এ শহরের চোখ ঝলসানো সূর্য যেন আগের মত দীপ্তি ছড়ায় না।চাঁদ যেন তার স্নিগ্ধ সুষমা বিলায় না।
এ শহরের প্রসন্ন বাতাস যেন অপরাধের এক বিষাক্ত আবরণে আচ্ছাদিত।অপরাধের ভারে নুইয়ে পড়া এ মহানগর। 
যেখানে নেই স্বস্তির নিঃশ্বাস। 
আনন্দে বিচরণের ঠাঁই। বাঁক স্বাধীনতা তো এ মহানগরে বহু আগেই হারিয়ে গেছে।
যেন ইজারাদারের অঙ্গুলির ইশারায় চলছে আমাদের মহানগর। নিরাপত্তা নেই,নিরাপদ সড়ক নেই,নির্মল শান্তি নেই।তাইতো রোজ ছুটে চলে মানুষ শান্তির অন্বেষণে।
মুক্ত বাতাসের প্রসন্নতা খোঁজে।
স্বাধীন একটি দেশের মানচিত্র খোঁজে কিন্তু দিনশেষে ব্যর্থ হয়ে আবার মানুষ গৃহবন্দীর মত অপরাধবোধ নিয়ে বাড়ী ফেরে।
জোর যার মুল্লুক তার।এ কথার মর্ম হারে হারে খুঁজে পেয়েছে এ দেশের মানুষ। চুপসে গেছে কেন মানুষ?কেন করেনা  অন্যায়ের প্রতিবাদ? কেন মানুষ শুধু নিরব দর্শকের অভিনয় করছে?
কেন চোখের সামনে অন্যায় দেখেও না দেখার ভান করে সরে যাচ্ছে? কেন সত্য আজ বিলীন হওয়া এক গ্লানি। মিথ্যার সয়লাবে কেন জর্জরিত চারদিক? কেন মানুষ দিশেহারা হয় আজ দিক্বিদিক ছুটোছুটি করছে?
এর কোন উত্তর নেই বা আছে কিন্তু বলার মত সাহস বা শক্তি কারো নেই। কারণ অন্যায়ের প্রতিবাদ করে এ দেশে শান্তিতে নিঃশ্বাস নেয় মানুষ খুব কমই।
গুম- খুন এ দেশের চিরাচরিত অভ্যাস। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিছু বলেছেন বা লিখেছেন, ব্যস হয়তো আগামীকালের সূর্য তার নসীবে আর জুটবে না।
বি.বি.সি বাংলার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০৯- ২০২০ তথা গত এগার বছরে বাংলাদেশে গুমরে শিকার হয়েছেন মোট ৫৮৭ জন দূর্ভাগা ব্যক্তি।
একসময় বিরোধী দলীয়দের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেতো।
এর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক  আলোচিত নেতা ইলিয়াস আলীর গুম হওয়ার ঘটনা।এছাড়া ২০১৩  সালে নেতা সাজেদুল ইসলাম প্রমুখ সহ আরো অনেকেই গুমের শিকার হয়েছেন বিভিন্ন সময়ে কারণে অকারণে।তবে আজকাল সাধারণ ব্যক্তিদের গুম হওয়ার ঘটনাও বিপুলসংখ্যক ঘটতে দেখা যায়।দলীয় নির্দলীয় সর্বক্ষেত্রের মানুষ এখন হঠাত হঠাতই গুমের শিকার হন।
২০১৯ সালে কাঠমিস্ত্রী মি. বাতেন নিজ কর্মস্থান মিরপুর থেকে হঠাতই নিখোঁজ হয়ে যান।
কিন্তু তার স্ত্রীর ভাষ্যমতে তিনি কোন ধরনের দলের সাথে কোনভাবেই জড়িত ছিলেন না।
একই বছরে প্রায় ১৫ মাস নিখোঁজ থেকে ঘরে ফিরেছেন সাবেক রাস্ট্রদূত মারুফ জামান।২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন।এ ছাড়াও ২০১৭ সালে নিখোঁজ হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জনাব মোবাশ্বার হাসান।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ১১ বছরে নিখোঁজ হয়েছেন ৫৮৭ জন। 
প্রতিবেদনতো আর সবগুলোর হয় না।
এর বাইরেও যে আরো অসংখ্য ঘটনা ঘটে নি তার নিশ্চয়তা কে দিবে। ৫৮৭ জন তো একটা আনুমানিক হিসেব। নিশ্চিত লোকসংখ্যা কত তা কে জানে।
আল্লাহ ছাড়া হয়ত আর কেওই জানেন না। 
৫৮৭ জনের মধ্যে বাড়ী ফিরেছেন ৩৫৭ জন।আর ৮১ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট ১৪৯ জন এখনো নিখোঁজ। তাহলে তারা কোথায়।
তাদের কি দোষ ছিল?কোন অপরাধের কারণে তাদের এমন শাস্তি। কিসের প্রতিদান দিল ভাগ্য তাদের।তাদেরও তো পরিবার -পরিজন আছে।হয়ত ফুটফুটে শিশু আছে।নয়নজুড়ানো সন্তান আছে।চক্ষুশীতল করা অর্ধাঙ্গীনি আছে। তারাও তো পৃথিবীর সকল সুখের সমান অংশীদার। 
সুখ সৌন্দর্যতো তাদেরও চিত্তে প্রশান্তি আনে। তাদের স্বাধীনতা খর্ব করার অধিকার কারও কী কোন কারণে আছে?
এ প্রশ্নের উত্তর বিবেক দিবে।
 আজো পথ চেয়ে বসে আছে অপেক্ষায়, 
আসবে তুমি ফের এ প্রত্যাশায়।
কিন্তু আসোনি তুমি গেল সহস্র দিন,
তবু আশার দুয়ারে আজো বসি
 প্রতিদিন।
স্বজনহারাদের চাপা কান্নায় আকাশ বাতাস যেন কেঁপে ওঠে।কম্পিত স্বরে বিলাপ করে।
তবুও নিষ্ঠুর অমানুষগুলোর পাথর কাটে না।
অন্তরে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা আসে না।
# প্রশাসন তাহলে কী করে?
বেশীরভাগ গুমের ঘটনায় দেখা যায়,আইনশৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়।
যদি সে বাস্তবিক পক্ষেই অপরাধী হয় তাহলে কাপুরুষের মত পেছন থেকে আঘাত করার কারণ কী।সরাসরি তাকে আটক করে নিয়ে যাক,আসলে তারা প্রশাসনিক পরিচয়ের আশ্রয়ে তাদের স্বার্থসিদ্ধি করে।কিন্তু প্রশাসন নিরব কেন?
এমন প্রশ্ন যতার্থ কিনা জানি না।
কিন্তু স্বজনরা প্রশাসনের কাছে সান্ত্বনা ছাড়া কিছুই প্রত্যাশা করতে পারে না। এমন হয় কেন?  এ প্রশ্নের হয়ত কোন উত্তর নাই বা আছে। তা অজানাই থাকুক।
তাহলে তারা কারা, যারা সাহসী পুরুষের মত এক নিরপরাধ ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যায়।
তারাই পরদিন উঁচু গলায় কথা বলে। আনন্দ উল্লাসে জীবন যাপন করে।যেন সে নবজাতকের মত নিষ্পাপ। 
সত্যের সততা যেন তার রক্তে মাংসে মিশে আছে।
কেন এই অরাজকতা? কবে হবে এসবের পরিসমাপ্তি। 
গুম-খুনে আর কত হারাবে নিষ্পাপ প্রাণ।
কোথায় পাবে একটু স্বাধীনতা, একটু শান্তি, পাবে একটুখানি বেঁচে থাকার অবলম্বন। 
মানুষের মাঝে এমন ভীতিকর সংস্কৃতি তৈরি করে কাদের লাভ।
অন্যের দুঃখ দেখে কারা আসমান ফাটিয়ে অট্রহাসে।
ফায়দা লুটতে কারা করছে এসব অমানবিক নির্যাতন।
কন্ঠরোধ করতে? মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিতে, নিরাপত্তা ছিনিয়ে নিতে? 
নাকি অন্য কোন উদ্দেশ্যে? 
শিক্ষাঙ্গনে শান্তি নেই, বিদ্যালয়ে বিদ্যা নেই।তাহলে কেমন মহানগর তুমি হে বাংলাদেশ।
তোমার সবুজে কারা পঙ্কিলতার বীজ বপন করেছে।
প্রত্যেক বছর সহস্র - লক্ষ শিক্ষার্থী বের হচ্ছে কিন্তু সমাজের কতটা উন্নতি হয়েছে। 
বাহ্যিক উন্নতি প্রকৃত উন্নতি নয়। উন্নত আর সভ্য জাতি তারাই যাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব আছে,দেশপ্রেম আছে।যাদেরকে দেখলে মানুষ বলা যায়।
কিন্তু টর্চ দিয়ে খুজলেও মানুষ পাওয়া যাবে না।
কিভাবে তৈরি হবে। সম্ভাবনাইতো মাটি।বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক হালচাল দেখুন! পড়াশোনা কতটুকু?  আর অহেতুক কোন্দল কতটুকু।
পারস্পরিক হিংসা, দাঙ্গাবাজি, টেন্ডারবাজি,আর ইভটিজিং,ধর্ষণ ইত্যাদিতো জানা কথাই।লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি,বিচারহীনতার সংস্কৃতি, নেতাকর্মীদের পারস্পরিক আধিপত্য বিস্তার। স্বদলীয় ফাটল, ইত্যাদি কোন্দলে প্রাণ হারানো ছাত্রের সংখ্যা একেবারেই কম নয়।বাস্তবায়ন করতে পড়াশোনা করতে যাওয়া ছেলেটি যখন চিরতরে হারিয়ে যায়। 
তরতাজা প্রাণ যখন মরদেহে পরিণত হয়।
ফুল ফোঁটার আগেই কত কলি  ঝরে পড়ে, তার পিতামাতার স্বপ্নগুলোও ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
একটি সুন্দর মার্জিত ভবিষ্যতে মুহুর্তেই বিলীন হয়ে যায়।
পড়তে এসে লাশ হওয়া ছেলেটির পরিবারের অবস্থাটা কি হয় ভেবে দেখেছেন কখনো?
একই সাথে জাতীর আগামী দিনের একটি নক্ষত্র ঝরে পড়ে কতটুকু কষ্টের তা কি ভাবা উচিত নয়?
এদেশের মিডিয়া কাদের অঙ্গুলি ইশারায় ওঠে বসে তা পুনরাবৃত্তি করার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই।
মিডিয়া যেখানে নির্দলীয় হয়ে জনগণের সেবা প্রদাণ করার কথা, সত্যাসত্যের আসল চেহারা সবার সামনে তুলে ধরা।
জনমত না দেখে নিরপেক্ষ রিপোর্ট পেশ করা।
সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলাই মিডিয়ার যৌক্তিক দায়িত্ব। 
কিন্তু আজকাল মিডিয়াগুলো পুরোপুরি ব্যতিক্রম মনে হয়।
কারণ সমস্ত মিডিয়া শক্তির মূলে রয়েছে জায়নবাদীরা।
প্রচার মাধ্যমের সহায়তায় তারা আমেরিকাকে কব্জা করে রেখেছে। যদিও  তারা সেখানকার সংখ্যালঘু জাতি।
কিন্তু তারা এমন চাল চেলেছ যে,বিশ্বের সমস্ত মিডিয়া কোম্পানি গুলো তাদের ইচ্ছাধীন।বিশ্বের অন্যতম প্রধান সংবাদ সংস্থা হলো রয়টার্স। দুনিয়ার এমন কোন সংবাদপত্র,রেডিও সেন্টার, টিভি সেন্টার নেই,যারা রয়টার্স থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে না।
এমনকি ব্রিটিশ ব্রড কাস্টিং। ( বিবিসি) যা আমাদের সর্বোচ্চ আস্থাশীল মিডিয়া।
এ বিবিসি পর্যন্ত তার ৯০ ভাগ সংবাদ সংগ্রহ করে রয়টার্স থেকে।
দুঃখজনক হলেও সত্য বিশ্বখ্যাত এ সংবাদ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়াস রয়টার্স ১৮১৬ সালে জার্মানীর এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
আর ইহুদীদের চরিত্র কেমন তা বলাই বাহুল্য। 
আর আমাদের দেশের মিডিয়া গুলোর ভাবভঙ্গি দেখে কোনো এঙ্গেলেই মনে হয় না তারা খুব বেশী নিষ্পাপ,ধার্মিক বা ইসলামপ্রিয়।
প্রত্যেকটি মিডিয়া কোম্পানিগুলোই সেকুলারিজম, (যা পশ্চিমা মতবাদ) মতাদর্শে আদর্শিত।
তারা কাদের দোসর তা জাতির সামনে দিবালোকের মত স্পষ্ট। ইসলামে ও মুসলমানদের বন্ধু নাকি শত্রু তা তারাই বিভিন্ন সময় প্রমাণ করেছে।
এ দেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র আলেমসমাজ মিডিয়ার বন্ধু নাকি অন্য কিছু তা আমজনতার ভালোই জানা।
কেন ভাই? আলেমরা কি আমরার ভাত নষ্ট করছে, নাকি আপনার ঘুম হারাম করছে, নাকি আপনার শান্তি কেঁড়ে নিছে।
তাহলে কাদের মদদ জোগাচ্ছেন আপনি? 
সুযোগের অসৎ ব্যবহার করে আপনি পার পেয়ে যাবেন?
কখনো সম্ভব নয়।ইতিহাসে এর নজীরও নাই।
তাহলে জেনেও কেন জায়নবাদ আর পশ্চিমাদের মদদ জোগাচ্ছেন।
শক্তিশালীদরে প্রশ্রয় দিয়ে নিম্নদের পায়ে সজ্ঞানে আঘাত করে যাচ্ছেন কেন প্রতিনিয়ত।
নাস্তিকতার ধোঁয়ায় সমাজকে কলুষিত করতে কতিপয় মিডিয়া উঠে পড়ে লেগেছে। 
ইসলামকে সেকেলে বলে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। 
কুরআনের ঘোষণা কি তাদের স্বরণ নেই।
মিথ্যাবাদীদের পরিণাম কি তাদের জনা নেই।
বুদ্ধিমান হলে অতীত থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত নয় কী? 
আসলে কী আর বলবো আরবীতে একটা প্রবাদ আছে
الناس اعداء لما جهلوا
অর্থাৎ, মানুষ অজ্ঞাত বিষয়ের শত্রু।
বুদ্ধিজীবী বা শিক্ষাবিদ হলেই আপনি সবকিছু বুঝে যাবেন তা কেমন করে হয়।
 না বুঝে কেন যেন ঘোড়ামী করে যায় শাহরিয়াররা আমাদের বুঝে আসে না।
বোঝার এতই যদি ইচ্ছে হয় ; বোঝার নিয়তে বিজ্ঞ আলেমদের সংস্পর্শে আসুন।
কিন্তু না।ঘাড় ট্যাড়ারা কখনো সোজা হয় না বলেনা,
একদম তাই।আর নির্বোধ মিডিয়াও সেগুলোকে মহাবিদ্যার ভান্ডার হিসেবে উপস্থাপন করে।
বাপ ছেড়ে চাচাকে বাঁচানোর মত অবস্থা আর কী?
গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ গুলো প্রচার না করে ফালতু বিষয় নিয়ে পড়ে আছে মিডিয়াপাড়া।
এক সাংসদ যতার্থই বলেছেন,
পরীমনিরা এদেশে সৌভাগ্য নিয়ে জন্মেছে।
সামান্য এক মডেল,নর্তকী। 
তাকে হত্যা ধর্ষণ কোনটিই করা হয়নি কেবল চেষ্টা করা হয়েছে।
সামান্য বিষয় নিয়ে কত কী হল?
একেকটা সংবাদ মাধ্যম ৭/৮ করে প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
মহান প্রশাসনও তার মামলা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। 
কিন্তু একজন আলেম স্ত্রী সহ রিসোর্টে যাওয়ার পর কেন শিরোনাম হয় " নারীসহ আটক" 
একবারও কী জিজ্ঞেস করেছে এ মহিলা আসলে কে?
কই, সেই নারীকেতো জিজ্ঞেস করা হয়নি আপনি একজন নারী হয়ে রাত ১২ টার পরে কেব ক্লাবে।
ভাগ্যের খেলা কত নির্মম। 
মিডিয়ার মুখে তখন কে লাগাম দিল।
আর আবু ত্বহা এ দেশে ভাগ্য নিয়ে জন্মায় নি।
মহান প্রশাসন তার স্ত্রীর একটি কথাও শুনেনি। 
কী আর বলবো দুঃখের কথা। 
বললে দিন রাত ফুরাতে থাকবে কিন্তু শেষ হবে না।
লিখলে সহস্র কলম লেখা আছে কিন্তু লাভ কী।
দিনশেষে অপরাধীরা অন্ধকারে আবার অপরাধের চাদর মুড়ি দেয়।
আবার কলুষিত করে মহানগর। 
অপরাধের কালো ধোঁয়া রুপ নেয় স্ফুলিঙ্গে।
হয়ত কোন একদিন এ শহরের বোধদয় হবে।
মহানগর হবে এক পবিত্র শহর।
পাপমুক্ত পবিত্র নগর।



শেয়ার করুন

0 coment rios: